সর্দি ও কাশির হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
আজকের আলোচনা স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের মাঝে প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি আমরা। আলোচনার এ পর্যায়ে আপনাদের সর্দি ও কাশি হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রতিটি মানুষের কখনো এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রতিনিয়ত অনেকেই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়। আর এটি খুবই সাধারণ একটি রোগ হওয়ার হলেও অনেকেই এটি নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনাদের মাঝে প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনি হয়তো সর্দি ও কাশি থেকে বেঁচে থাকতে পারেন এর পাশাপাশি এই সকল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে আপনি এর প্রতিকার খুঁজে নিতে পারবেন সুতরাং সুস্থ সবল থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের আলোচনার সাথে থাকতে হবে আশা করছি আপনি আপনার সর্দি ও কাশি রোগ থেকে অনেকাংশে বেঁচে থাকতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অবশ্যই এগুলো সাধারণ কাজ আপনি চাইলেই এখান থেকে সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমিয়ে নিতে পারেন।
শীত কিংবা গরম উভয় সময়ে মানুষের সর্দি ও কাশি হয়ে থাকে তবে সর্দি কাশি মানুষের অনেক বড় প্রতিশোধন করে এমনটি নয় তবে নিজেকে অনেক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিতে অবশ্যই সক্ষম। ঋতুর পরিবর্তনের সময়ে কিংবা হঠাৎ খুব বেশি শীত কিংবা গরমের কারণে এই সমস্ত রোক লক্ষ্য করে থাকি আমরা। যার মাধ্যমে আমাদের বেশ বড় ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে অনেকেই রয়েছেন সর্দির কারণে প্রচন্ড মাথা ব্যথায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে ঋতু পরিবর্তনের সময় কোন কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে পাশাপাশি প্রচন্ড শীত ও গরম থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে সেই বিষয়গুলো আজকের আলোচনা তুলে ধরবো আমরা পাশাপাশি এই সর্দি ও কাশি থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে স্বাস্থ্য বিষয়ক এই আলোচনার সাথে থেকে আপনি এই বিষয়গুলো জ্ঞান অর্জন করবেন পাশাপাশি অন্যকে জানানোর ব্যবস্থা করবেন আশা করছি এই সমস্ত তথ্য জানার মাধ্যমে আপনি অনেকটাই নিজেকে এই রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
সর্দি ও কাশি হওয়ার কারণসমূহ
সর্দি ও কাশি হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী রয়েছে অনেকেই কি কি কারণে আমাদের শরীরে সর্দি ও কাশি লক্ষ্য করা যায় । এর লক্ষণসমূহ জানার মাধ্যমে আমরা এর প্রতিকার খুঁজে নিতে পারব অবশ্যই আগ্রহের সাথে আমাদের তথ্যগুলো থেকে জেনে নিন কি কি কারনে সর্দি কাশি হতে পারে নিচে এই তথ্যগুলো তুলে ধরা হচ্ছে।
কেন সর্দি হয়?
সর্দিজ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হওয়া রোগগুলোর একটি।
ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাকমে’র সিনিয়র ম্যানেজার ও চিকিৎসক আফরোজা আখতার বলেন, “একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বছরে ৪ থেকে ৬ বার এবং একটি শিশুর বছরে ১০ থেকে ১২ বার সর্দিজ্বর হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।”
এই সর্দিজ্বর বা ঠান্ডা লাগার কারণ ভাইরাস সংক্রমণ। একসময় ধারণা করা হতো একটি বিশেষ গোত্রের ভাইরাসের মাধ্যমেই শুধু সর্দি হয়। তবে ৮০’র দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয় যে মোট সাতটি গোত্রের ভাইরাসের কারণে সর্দিজ্বর হয়ে থাকে।
সর্দি ও কাশি প্রতিকার
সর্দি ও কাশি হয়ে থাকলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে আপনাদের সঠিক তথ্য কিংবা পরামর্শ প্রদান করব আমরা পাশাপাশি চেষ্টা করব কিছু ওষুধের সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দিতে যেগুলো এই সমস্যার সমাধান দিতে পারবে বলে মনে করছি আমরা আমরা পরামর্শ নিয়েছি স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে এবং অবশ্যই আপনাদের এই বিষয়গুলোকে ছোট করে দেখা উচিত নয় দীর্ঘ সময় সর্দি কাশি থেকে থাকলে অবশ্যই নিকটস্থ একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে সাধারণভাবে আমরা কিছু প্রতিকার আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।
সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন, লেবু, মরিচ গুঁড়ো এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
এই মিশ্রণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। মরিচের গুঁড়ো নাকে থার্মোজেনিক প্রভাব ফেলে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
আদা: সর্দি-কাশি সারাতে আদার উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে! অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে এতে। যা গরমে সাধালন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়ক।
এজন্য আদা পাতলা টুকরো কেটে নিয়ে পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এই মিশ্রণটি আপনার সর্দি-কাশি খুব দ্রুত নিরাময় করবে।
দারুচিনি: সর্দি-কাশি নিরাময়ে দারুচিনি মহৌষধ বলে বিবেচিত! এটি ভাইরাল আক্রমণ এবং অন্যান্য সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
এজন্য কিছুটা পানি আস্ত দারুচিনি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানির সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার চায়ের মতো পান করুন। ফলাফল খুব দ্রুত টের পাবেন!