গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ
আসসালামু আলাইকুম আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভকামনা। পাঠক বন্ধুরা আজকে আমি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমাদের আজকের পোস্টটি হচ্ছে গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আমাদের আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো কি কি কারণে গোসল ফরয হয়। আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা লাভ করতে পারবেন। আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ ছাড়া ও ফরয গোসলের নিয়ম গুলো সম্পর্কে সবকিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আশা করি আমাদের আজকের এই লেখাটি আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে সকলের কাজে লাগবে।
গোসল আরবি শব্দ এর অর্থ সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধৌত করা। তবে এলাকা বা জায়গা অনুসারে এর অনেক অর্থ রয়েছে কেউ কেউ গোসল কে স্নান বা চান বলে থাকেন আবার অনেকে একে নাইতে যাওয়া বলে থাকেন।
তবে ইসলামের পরিভাষায় এর একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। ইসলামী পরিভাষায় গোসল বলতে পরিষ্কার পানি দ্বারা পুরো শরীর ধৌত করা এবং পবিত্রতা অর্জন করার নামই গোসল।
গোসল সাধারণত তিন প্রকারের যথা: গোসলে ফরয অর্থাৎ ফরয গোসল গোসলে সুন্নাহ অর্থাৎ সুন্নাত গোসল এবং ওয়াজিব গোসল। ফরয গোসল হচ্ছে মানুষের উপর যে গোসল কার্যকর হয়ে যায়। গোসলের ফরয তিন টি। বিভিন্ন কারণে মানুষের উপর গোসল ফরজ হতে পারে। সুন্নাত গোসল হলো শুক্রবারের নামাযের আগের গোসল। আর ওয়াজিব গোসল হচ্ছে দুই ঈদের গোসল। তাই আমাদের সকলের উচিত গোসলের নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে গোসল করা।
গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ
পাঠক বন্ধুরা এখানে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ। আমাদের আজকের এই পোস্ট টি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনারা গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন। অনেকেই আছেন যাদের গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে সঠিক ভাবে কোনো ধারণা নেই তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন। আমাদের আজকের এই পোস্ট টি আপনি নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন এবং আপনার বন্ধু বান্ধব ও পরিচিত জনদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিম্নে গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ তুলে ধরা হলো:
কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক, সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হেদায়া ১/৪৫, আন নুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯)
দুই. স্ত্রী সহবাস করা। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক। (বুখারি, হা. ২৯১, মুসলিম, হা. ৩৪৩)
তিন. নারীদের ঋতুস্রাব বা নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল ফরজ। (রদ্দুল মুহতার ১/১৬৫)
পাঠক বন্ধুরা আপনাদের সকলের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আমাদের আজকের এই লেখাটি এখানেই শেষ করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সকলকে জানার ও বোঝার তৌফিক দান করুক। আমীন।