জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী
প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদের সকলের প্রতি অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমাদের আজকের এই নতুন পোস্টটি শুরু করছি। ভিউয়ার্স আমরা আজকে আপনাদের মাঝে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা আমাদের পোস্ট থেকে জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে ধারণা লাভ করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে আমরা জীবনানন্দ দাশের বাণী উক্তিগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। যা সংগ্রহ করে আপনারা নিজের জীবনে অনুসরণ করলে আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। আশা রাখি আমাদের আজকের এই জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী গুলো আপনাদের জীবনে অনুপ্রেরণা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন রূপসী বাংলার কবি। তিনি তার কবিতা ও গল্পে বাংলার অপরূপ প্রকৃতির সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে গেছেন। তার লেখায় তিনি বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের একটি তুলে ধরেন। তিনি তার কবিতার ছন্দ ও উপাদান সমূহ বাংলার প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করেছেন। তিনি আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। তিনি মানুষের জীবনকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু উক্তি বাণী বলেছেন। আমরা তার উক্তি ও বাণী গুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারব। তিনি তার লেখায় মানুষের জীবনের সফলতার একটি বর্ণনা করে গেছেন। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন গ্রাম বাংলার কবি। তিনি তার কবিতায় স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন তিনি বাংলার প্রতিটি জিনিসের সাথে মিশে থাকতে চান। তাইতো আজও এই বাংলার প্রতিটি মাটি ও মানুষের মাঝে জীবনানন্দ দাশ কে খুঁজে পাওয়া যায়।
জীবনানন্দ দাশের উক্তি
জীবনানন্দ দাশ কবিতা ও গল্প লেখা ছাড়াও মানুষের জীবনের জন্য বেশ কিছু উক্তি বলে গিয়েছেন। তার উক্তিগুলোর মাঝে মানুষের জীবনের সকল বর্ণনা পাওয়া যায়। তাইতো আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে জীবনানন্দ দাশের সেরকমই কিছু উক্তি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে সহজেই জীবনানন্দ দাশের উক্তিগুলো সংগ্রহ করে নিজের জীবনে অনুপ্রেরণা সৃষ্টিতে কাজে লাগাতে পারবেন। আপনি আজকের এই উক্তিগুলো দ্বারা আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলতে পারবেন। পাঠক বন্ধুরা, নিচে জীবনানন্দ দাশের উক্তিগুলো আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো:
1. শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে- বলিলাম- ‘একদিন এমন সময় আবার আসিয়ো তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়- পঁচিশ বছর পরে।’
2. আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।
3. স্থবিরতা, কবে তুমি আসিবে বলো তো।
4. তবুও নদীর মানে স্নিগ্ধ শুশ্রূষার জল, সূর্য মানে আলো : এখনো নারী মানে তুমি, কত রাধিকা ফুরালো।
5. থমথমে রাত,- আমার পাশে বসল অতিথি,- বললে,- আমি অতীত ক্ষুধা,-তোমার অতীত স্মৃতি!
6. আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।
7. অপরাজিতার মতো নীল হয়ে- আরো নীল- আরো নীল হয়ে ,আমি যে দেখিতে চাই;- সে আকাশ…
8. চোখে তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!
9. সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়, আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের’পরে!
10. প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?
11. কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!
12. যে নদী হারায়ে যায় অন্ধকারে –রাতে – নিরুদ্দেশে, তাহার চঞ্চল জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায় হৃদয়!
13. তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন।
14. শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন! হেমন্ত আসেনি মাঠে ,- হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন!
15. পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন; মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।
16. সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে তোমার ছায়ার মতো ফিরিয়াছি তোমার পিছনে!
17. সকল কঠিন সমুদ্রে প্রবাল লুটে তোমার চোখের বিষাদ ভৎসনা. প্রেম নিভিয়ে দিলাম, প্রিয়।
18. অর্থ নয়, র্কীতি নয়, সচ্ছলতা নয়- আরো এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে ,আমাদের ক্লান্ত করে; ক্লান্ত ক্লান্ত করে:
19. আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি; জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।
জীবনানন্দ দাশের বাণী
প্রতিটি কবি ও সাহিত্যিক মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু বাণী বলে যান। তাদের মুখের সুস্পষ্ট কথাও বাণী গুলো অন্যের জীবনকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। তাদের বাণী গুলোর মাধ্যমে মানব জীবনকে সফলময় করার দিক নির্দেশনা সমূহ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে আমরা এরকমই কিছু বাণী আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমরা আজকে আপনাদের মাঝে জীবনানন্দ দাশের বেশ কিছু বাণী উল্লেখ করবো। আপনারা আমাদের আজকের জীবনানন্দ দাশের বাণী গুলো সংগ্রহ করে নিজের জীবনের কাজে লাগাতে পারবেন। আমাদের আজকের এই জীবনানন্দ দাশের বাণী গুলো আপনাদের জীবনে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে সাহায্য করবে। আপনি আমাদের আজকের এই জীবনানন্দ দাশের বাণী গুলো আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। নিচে জীবনানন্দ দাসের বাণী গুলো তুলে ধরা হলো:
১ প্রেম ধীরে মুছে যায়,
নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় নাকি?
২ তোমার মুখের রূপ কত শত শতাব্দী আমি দেখি না
খুঁজি না।
৩ শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন!
হেমন্ত আসেনি মাঠে ,- হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন!
৪ চোখে তার
যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!
৫ পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।
৬ আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।
৭ আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা
বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।
৮ শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে-
বলিলাম- ‘একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়-
পঁচিশ বছর পরে।’
৯ থমথমে রাত,- আমার পাশে বসল অতিথি,-
বললে,- আমি অতীত ক্ষুধা,-তোমার অতীত স্মৃতি!
১০ আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে