চুল পড়া বন্ধ করার উপায় | অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করুন

এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে চুলপড়া সমস্যায় ভুগছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাই বিপুল সংখ্যক মানুষ অনলাইনে অনুসন্ধান করে চুল পড়া বন্ধের উপায় গুলো জানতে। তাই আমরা আজকে আপনাদের জন্য এই পোস্টটি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টটিতে চুল পড়ার কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। অতএব চুল পড়া বন্ধ করার এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট টি আপনার সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যে বিষয়টি জানতে পারবেন তা হলো চুল পড়ার কারণ, কিভাবে এটি প্রতিকার করবেন ,এবং কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন ,এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এই পোস্টে।

চুল পড়া বন্ধের উপায় এর পাশাপাশি অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এখানে। আপনি চাইলে এখান থেকে খুব সহজেই আপনার চুল পড়া বন্ধ করে নিতে পারবেন খুব সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে। এর জন্য আপনাকে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

চুল পড়ার কারণ

এখান থেকে জানতে পারবেন কী কারণে মানুষের চুল পড়ে। এই কারণগুলো জানা থাকলে আমরা অবশ্যই এর প্রতিকার বের করতে পারবো। কিছু সংখ্যক লোক এই চুল পড়া কে অতি নগন্য মনে করেন কিন্তু পরবর্তীতে চুল পড়া একটি বিশাল সমস্যার সম্মুখীন করে তোলে। তাই কোন সমস্যা কেই ছোট মনে করা উচিত নয়।
নিচের চুল পড়ার কারণ গুলো দেওয়া হল।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

এই পোস্টে চুল পড়া বন্ধের উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিচের চুল পড়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

মেথি

আধা কাপ নারকেল তেলে ১ চা চামচ মেথি দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা জেল

সপ্তাহে দুইদিন অ্যালোভেরা জেল লাগান চুলে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে লাগান চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঝলমলে হবে চুল।

মেহেদি ও সরিষার তেল

২৫০ মিলি সরিষার তেলে ২০টি মেহেদি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে ম্যাসাজ করুন চুলের গোড়ায়। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন এই তেল।

১) মাথায় গরম পানি ব্যাবহার করবেন নাঃ মাথায় গরম পানি ব্যাবহার করলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় তাই গরম পানি ব্যাবহার করবেন না।

২) হেয়ার ড্রায়ার এ চুল শুকাবেন নাঃ হেয়ার ড্রায়ার এর গরম বাতাস চুল এর জন্য ক্ষতিকর তাই সময় নিয়ে চুল শুকান হেয়ার ড্রায়ার ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।

৩)মাথায় অবশ্যই তেল দিতে হবে: অনেকেই মনে করেন মাথায় তেল না দেয়া একটা ফ্যাশন কিন্তু না তেল না দিলে চুলের গোড়া রুক্ষ হয়ে যায় চুল ঝড়ে পড়ে তাই সপ্তাহে নুন্যতম ২ দিন তেল দিন।

৪) কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু প্রত্যাহার করুনঃ কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু প্রত্যাহার করতে হবে না হলে হারাতে হবে সাধের চুল।

৫) মাথার স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগাবেন না: মাথার স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু লাগালে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় তাই স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু লাগাবেন না।তবে অগ্রভাগে শ্যাম্পু লাগাবেন এতে চুল ঝলমলে হয়

চুলের যত্ন

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে। চুলের যত্ন না নিলে কোনদিনও চুল ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাই চুল সুন্দর এবং ভালো ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে এবং নিয়মিত চুল ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে তা না হলে চুল উঠে যাবে। তাই যাতে আমাদের চুল না পড়ে সেজন্য আমাদের নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে হবে এবং চুলের যত্ন নিতে হবে।

  • সকালে ঘুম থেকে উঠেই চুল আঁচড়াতে হবে। নাহলে চুলের জট থেকেই যাবে। আর এই জটবাঁধা চুল আছড়ালেই চুল কাটতে শুরু করে।
  • বড়ো দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। তানাহলে চুল আঁচড়ানোর সময় টান পড়লে চুল কাটতে থাকে।
  • নিয়মিত চুল ধুয়ে নিতে হবে। যাদের নর্মাল চুল তারা একদিন পর পর চুল ধুয়ে নিতে পারে । যাদের তৈলাক্ত চুল তাদের প্রতিদিন চুল ধুয়ে নিতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না। ভেজা চুল নরম থাকে তাই নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছতে হবে।
  • চুল নরম ও মসৃণ থাকে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
  • অনেকেই চুলে তেল ব্যবহার করে না। শ্যাম্পুর পাশাপাশি চুলে তেল দিতে হবে। শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরাতে, চুলের ঝড়ে পড়া রুখতে ও চুলকে রেশমী ও মসৃণ করতে তেলের বিকল্প নেই।
  • অকারণে হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে বারবার হিট নেওয়া , চুলে হেয়ার কালার করা, চুলের স্টাইল বা ফ্যাশনে অধিক কেমিক্যাল না ব্যবহার করাই ভালো।
  • উষ্ণ তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে।উষ্ণ তেল মালিশে যেমন চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায় তেমন চুলের গোড়া ও শক্ত হয়।
  • চুলের যত্ন নিতে নারকেল তেল, আমন্ড ওয়েল,অলিভ ওয়েল, ক্যাস্টর ওয়েল যেমন অনবদ্য তেমনি মেথিরপ্যাক, অ্যালভেরা হেয়ারপ্যাক, টকদই হেয়ারপ্যাক এগুলি খুবই কার্যকরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *