বিজয় দিবসের কবিতা
বিজয় দিবসের কবিতা: সম্মানিত পাঠক আপনাদের সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের আলোচনা। আমাদের আজকের আলোচনা টি হচ্ছে বিজয় দিবসের কবিতা সম্পর্কিত একটি আলোচনা। আমরা আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাদের মাঝে বিজয় দিবস উপলক্ষে বেশ কিছু কবিতা উপস্থাপন করব। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে বিজয় দিবসের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি মহান বিজয় দিবসের এই দিনটি সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন। বিজয় দিবসের চেতনা সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্যই আমরা আজকে আপনাদের মাঝে বিজয় দিবসের কবিতা গুলো উপস্থাপন করেছি। আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি ইতিহাসে একটি বীরত্বপূর্ণ দিন। এদিন টিকে ঘিরে বাঙালির অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। অবশেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি সংগ্রামের কাছে হেরে গিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে বাঙালির জীবন ও বাংলাদেশের ভূমি থেকে চিরতরে চলে যায়। সেই থেকে ইতিহাসের এই দিনটি বিজয় দিবসের দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। 1971 সালে 16 ডিসেম্বরের এই বিজয় দিবসের দিনটি তখন থেকে বাঙালি শ্রদ্ধা ভরে ও আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে পালন করে আসছে। এই দিনটি সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। উপলক্ষে সারাদেশে খেলা ধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিসেম্বর মাস থেকে বিজয়ের মাস বলা হয়।
বিজয় দিবসের কবিতা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেকেই অনলাইনে বিজয় দিবসের কবিতা গুলো অনুসন্ধান করে থাকে। আমরা আজকে তাদের কথা ভেবে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়ে এসেছি বিজয় দিবসের কবিতা সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আমাদের আজকের এই পোস্টটি আমরা আপনাদের মাঝে বিজয় দিবসের বেশ কিছু কবিতা উপস্থাপন করব। আর আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে বিজয় দিবসের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনি ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনটি উদযাপনে আমাদের আজকের কবিতা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই কবিতাগুলো দ্বারা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ১৬ই ডিসেম্বরের চেতনা জাগ্রত করতে পারবেন। নিচে বিজয় দিবসের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:
১৬ ডিসেম্বর কবিতা
ফারহান বিল্লাহ
তপ্ত গরম
যুদ্ধ চরম
যেই দিনে ,
গর্জে ওঠে লক্ষ হাত
পেতে দিল বক্ষ হাত ।
যোদ্ধা বেশে
যুদ্ধ শেষে
তোমরা যারা রাঙলা দেশ
বিজয় দিয়ে বাংলাদেশ ।
করছি বরণ
করছি স্মরণ
এই দিনে ।
Bijoy Diboser Kobita
ষোলোই ডিসেম্বর
মঈন মুসতাকিম
দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে
স্বাধীন হলো দেশ
স্বাধীন হলো সাজানো এই
শ্যামল পরিবেশ।
কেউ হারাল সতীত্ব আর-
কেউ ঝরাল ঘাম
বীর শহীদের রক্ত হলো
স্বাধীনতার দাম।
দেশ বাঁচাতে জীবন দিল
লক্ষ নারী-নর
আমরা পেলাম বিজয়মাখা
ষোলোই ডিসেম্বর।
বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি
স্বাধীনতার ছড়া
আকরাম সাবিত
যুদ্ধ করেছিলাম বলেই
পেলাম স্বাধীনতা-
হাসতে পারি
ভাসতে পারি
বলতে পারি কথা।
পড়তে পারি
লড়তে পারি
অনেক কিছু করতে পারি ভাই-
যুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম তাই।
ইচ্ছে হলেই এক বিকেলে
ফাগুন এলে
পালক মেলে
ওই আকাশে উড়তে পারি
ঘুরতে পারি ছড়িয়ে আপন
ডানা,
নিজের মতন মুক্ত স্বরে
ধরতে পারি গানা।
কেউ করে না মানা।
স্বাধীনতা পেয়েছিলাম
বলে-
যখন-তখন হাত নাড়িয়ে
যাই হারিয়ে দস্যি ছেলের
দলে,
কখনোবা ভোর-বিহানে
পাখির কোলাহলে।
বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২
বিজয় আসে
শরিফ আহমাদ
একাত্তরে লড়াই যখন শুরু–
বীর বাঙ্গালি জাগে
ছোটে সবার আগে
জালিমের বুক কাঁপে দুরুদুরু ।
তুমুল লড়াই চলে দিনে রাতে–
পোড়ে কত বাড়ি
কাঁদে শিশু নারী
মুক্তিযোদ্ধা থাকে সবার সাথে ।
পাকহানাদার হটে তখন পিছু–
বিভিন্ন কৌশলে
আটকে ইঁদুর কলে
রাজাকার ও সঙ্গে ছিলো কিছু ।
লাখ শহীদের রক্ত নদী ঝরে–
নয়টি মাসের শেষে
সূর্য ওঠে হেসে
বিজয় আসে বাংলার ঘরে ঘরে ।
বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা
স্বাধীনতার রহস্য উন্মোচনে
সালমান রুমি
এ আমার অদ্ভুত হাসি!
প্রতিদিন আমাকে প্রশ্ন করো,
রহস্য কী?
আমি জানি,এ একধরনের ভাইরাস
তাই আমি চুপ থাকি।
এলোপাথাড়ি কাকগুলোর উড়াউড়ি,
এখন আর ভালো লাগে না।
অতীতের কিছু ভয়ঙ্কর স্মৃতি জেগে উঠে!
আমার সবকথাই তোমাদের অদ্ভুত লাগে,
খেই হারিয়ে প্রশ্ন করো বিজ্ঞের মতো,
এখন আমরা ডিজিটাল!
পঞ্চাশ বছর আগের চিত্র আর আজ,
নিক্তির পাল্লা এখানে ভারি।
পরিবর্তন হয়ে গেছে সবকিছুর আদল
শুধু আমি সেই আগের মতোই রয়ে গেলাম!
আমার অদ্ভুত হাসি তোমাদের প্রশ্ন জাগায়,
তোমরা অতীত ভুলে মেতে ওঠো
ডিজিটাল উন্মাদনায়।
আমি জানি এ একধরনের ভাইরাস
তাই আমি চুপ থাকি
স্বাধীনতার রহস্য উন্মোচনে…
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কবিতা
বিজয় তুমি
ফয়েজ হাবীব
বিজয় তুমি সুখের ভূমি
বীর বাঙ্গালির অন্তরে
স্বাধীন টানে গানে গানে
উঠলো গেয়ে মনতো রে ।
বিজয় প্রেমে বিজয় ফ্রেমে
নীল আকাশে সবুজ লাল
বিজয় পেয়ে হেসে গেয়ে
সামনে চলার মুক্ত পাল ।
বিজয় বোধে প্রতিরোধে
হঠাৎ জালিম পিছুটান
রক্তে লেখা বিজয় দেখা
বিলীন হওয়া কিছু মান ।
প্রাণের বিজয় আহা কী জয়
বীর বাঙ্গালির গর্ব ধন
ডিসেম্বরে একাত্তরে
পাক বাহিনীর খর্ব মন ।
16 ডিসেম্বর কবিতা
বিজয় দিবস
শরিফ আহমাদ
একাত্তরে কী ঘটেছে
সবার কিছু জানা
হঠাৎ করে পাকহানাদার হানা ।
গুলি করে মানুষ মারে
জ্বালিয়ে দেয় বাড়ি
নারী-শিশুর করুন আহাজারি ।
বীর বাঙ্গালি জেগে ওঠে
অস্ত্র নিয়ে হাতে
লড়াই করে দিনে এবং রাতে ।
রক্ত নদী পাড়ি দিয়ে
বিজয় দিবস আসে
ঐ পতাকায় রক্ত ছবি ভাসে ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে কবিতা
খোকার জন্য
শরিফ আহমাদ
লড়াই শুরুর প্রথম দিকে
বের হয়েছে খোকা
মাকে দিয়ে ধোঁকা ।
বলে গেছে খেলা শেষে
আসবো দ্রুত ফিরে
ভালোবাসার নীড়ে ।
কিন্তু খোকা আর আসেনি
মা-টা খোকার শোকে
আজ দেখে না চোখে ।
পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ায়
খোকার তালাশ করে
আয় খোকা আয় ঘরে ।
বিজয় দিবসের ছড়া
সুবাস ছড়ায়
ফারহান বিল্লাহ
এটা কিন্তু আমজনতার
রাস্তা না
এটা ছিল পাক বাহিনীর
আস্তানা ।
রাস্তা চলার ডান ও বামে
ছিল অনেক
বাঁশ টানা
বাঁশের আগায় বাঁশের গোড়ায়
ছিল অনেক
লাশ টানা ।
লাশের পাহাড় ডিঙ্গে হলো
মুক্ত স্বাধীন বেশ
সুবাস ছড়ায় বিশ্বে এখন
প্রিয় বাংলাদেশ ।
বিজয় দিবসের ছড়া কবিতা
মুক্তিযোদ্ধা দাদু
শরিফ আহমাদ
আমার দাদুর অনেক বয়স
মুক্তিযোদ্ধা তিনি
তার নিকটে ঋণী
গ্রামের সকল পুরুষ এবং নারী
তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারি ।
একাত্তরে পাকহানাদার
দাদুর ভয়ে পালায়
হাজারো গ্রাম জ্বালায়
পাখির মতো মানুষ মারে কত
মুক্তিযোদ্ধা দাদু হন না নত ।
জীবন বাজি রেখে তিনি
যুদ্ধ করতে নামেন
যুদ্ধ শেষে থামেন
বিজয় নিয়ে ফিরে আসেন ঘরে
ঐতিহাসিক ষোলো ডিসেম্বরে ।
বুক ফুলিয়ে চলেন তিনি
আছেন এখন ভালো
চোখে-মুখে আলো
ব্যস্ত থাকেন দেশের সকল কাজে
এমন দাদু অনেক এই সমাজে ।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা
স্বাধীনতার সূর্য
শরিফ আহমাদ
দেশ হয়েছে মুক্ত স্বাধীন
ঐ আকাশে তা-ধিন তা-ধিন
বিজয় নিশান ওড়ে
দেশদ্রোহীদের আত্মা কিছু
ছদ্মবেশে ঘোরে ।
ওরাই করে পুকুর চুরি
ইয়া মোটা বানায় ভুরি
ওরাই খাদ্যে ভেজাল মেশায়
মানুষ বানায় রোগী
হাজার ভুক্তভোগী ।
ওরাই করে জুলুম ধর্ষণ
পাপের ভারে হয় না বর্ষণ
রহম আকাশ থেকে
দেশদ্রোহীদের চামচা কিছু
বিপদ আনে ডেকে।
ওদের সঠিক বিচার হলে
শান্তি আসবে দেশে
স্বাধীনতার সূর্য উঠবে
পূব আকাশে হেসে ।
বিজয় দিবসের ছড়া কবিতা
দেশকে ভালবাসি
শরিফ আহমাদ
বাংলাদেশে জন্ম আমার
দেশকে ভালবাসি
দূর প্রবাসে পাড়ি দিলে
আবার ফিরে আসি ।
দেশ-মাটিতে বেড়ে উঠি
খাই যে হালাল খাদ্য
মায়ের ভালোবাসায় বুকে
বাজে সুখের বাদ্য ।
ভাষার জন্য দেশের জন্য
যারা করেন লড়াই
গৌরবের ঐ গল্পকথায়
করতে পারি বড়াই ।
দেশের বুকে ভালো আছি
স্বাধীন হওয়ার জন্য
সোনার দেশে জন্ম হওয়ায়
জীবন আমার ধন্য ।
জয়ের হাসি
আলাউদ্দিন হোসেন
দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ করে
ফুটলো মুখে হাসি
রক্তক্ষয়ের বিনিময়ে
বাজলো জয়ের বাঁশি ।
শিশু কিশোর বৃদ্ধ শ্রমিক
হাসলো কোঠি কৃষাণ
বিজয় মাখা হাসির সুরে
বাজলো বিজয় নিশান।
রক্তে ভেজা বিজয় নিশান
সবার মুখে হাসি
মুক্ত স্বাধীন করতে রঙিন
বড্ডো ভালোবাসি ।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা আবৃত্তি
স্বাধীন বাংলা
শরিফ আহমাদ
নিত্য মাঠে কাজ করে যায়
ঘাম ঝরিয়ে চাষি
সোনার ফসল তোলার আগে
মুছে মুখের হাসি ।
পশ্চিমারা সব নিয়ে যায় চলে
গরীব চাষী ভাসে চোখের জলে ।
কথা বলার নেই অধিকার
বন্ধ স্বাধীন চলার
জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে
চেপে ধরে কলার ।
হঠাৎ রাতে আবার করে হানা
এই ঘটনা সবার হলো জানা ।
প্রতিবাদে জাগলো সবাই
ছুটলো তুমুল বেগে
পাক বাহিনীর সঙ্গে তখন
যুদ্ধ গেলো লেগে ।
রক্ত নদী ঝরে বিজয় এলো
স্বাধীন বাংলা সবাই বুঝে পেল ।
বিজয় মানে
নাহিদ নজরুল
বিজয় মানে হাসি খুশি
আনন্দ উল্লাস
বিজয় মানে স্বদেশ ভূমে
স্বাধীন বসবাস।
বিজয় মানে যখন তখন
মনের কথা বলা
বিজয় মানে নির্ভয়ে রোজ
মনের কথা বলা ।
বিজয় মানে মুক্ত স্বাধীন
নয় পরাধীন নয়
বিজয় মানে অত্যাচারীর
নেই কোন আর ভয় ।
বিজয় দিবসের কবিতা
বিজয় এলো
শরিফ আহমাদ
বিজয় এলো তৃপ্তি পেলো
বাংলাদেশের মানুষ
পরম সুখে সবার মুখে
ওড়ে কথার ফানুস।
লড়াই স্মৃতি স্বজন প্রীতি
বুকের ভেতর রাখা
বেড়ায় উড়ে ঘুরে ঘুরে
লাল সবুজ পতাকা।
স্বাধীন গানে প্রাণে প্রাণে
কী যে দারুণ গর্ব
বীরের জাতি মহান খ্যাতি
হয় না যেন খর্ব ।
এইতো স্বাধীনতা
শরীফুল্লাহ ইদরীস
বলতে গেলে কোন কথা
হাত চেপে দেয় মুখে
জমতে থাকে কথাগুলো
হয় যে ব্যথা বুকে।
আমরা জাতি আজ অসহায়
ভুল পথেরই বাঁকে
সঠিক পথের নাই যে দিশা
ভুল ছবিটাই আঁকে।
বড়াই করি স্বাধীনতার
এই পেয়েছি সেই-টা
নামে মাত্র স্বাধীনতা
পরাধীনের খেই-টা।
বিজয় দিবসের ছড়া
স্বাধীন দেশে
কয়েস আহমদ মাহদী
ভাই-বোনদের সাহস ছিলো
ছিলো অনেক গুন
দেশকে স্বাধীন করার জন্য
দিলো বুকের খুন ৷
স্বাধীন হয়েও জালেমগুলো
চলে মহা সুখে
নিরপরাধ মানুষ দেখো
মরে কতো দুখে।
রক্তে কেনা স্বাধীন দেশে
সইব কত বল
অনিয়ম চাইনা আর
এক সাথে ভাই চল।
বিজয় দিবসের ছড়া
একাত্তরে মানুষ
জি.এম সুমন
সহজ সরল মানুষগুলোর
মনটা ছিলো খাটি
দেশের তরে যুদ্ধ করে
করলো স্বাধীন মাটি ।
বাসতো ভালো মাতৃভূমি
দীপ্ত ছিলো নীতি
মুক্ত হলো রক্ত ঢেলে
প্রমাণ করলো প্রীতি !
এখন –
বদলে গেছে মানুষগুলো
উল্টে গেছে রীতি
দূর্ণীতিতে ডুবে গেছে
স্বাধীন পরিস্থিতি ।
এখন শুধু স্বার্থবাদী
পকেট ভরতে লাফায়,
তাদের মত কে আছে আর
দেশের জন্য ঝাঁপায় ?
বিজয় দিবসের কবিতাবলী
কোথায় স্বাধীনতা
মজনু মিয়া
পান খসাতে চুন গেলো কই
নীতির অভাব দেখি
মুখের আড়াল মুখোশ পরা
শুধুই কথার ঢেকি ৷
হাতি গেছে ঘোড়া গেছে
এটা তো সব ঠিকি আছে
তবে কেন মিছে মিছে
মামার গল্প মায়ের কাছে?
চোখ গেলো কান গেলো হায়রে
কার বা বলো জ্বলে?
বেকার কেন, বুলি আওড়াই
সুযোগ তলে তলে !
স্বাধীনতা স্বাধীন আমার
এই যে সোনার দেশে
আজও কেন পাই না তারে
খুঁজে অবশেষে !!
আল্লাহ জানে
ফাতেমাতুয যাহরা স্মৃতি
স্বাধীন দেশে বাস করেও
নই কেহ আজ স্বাধীন
অত্যাচারীর বিজয় নিশান
উড়ছে তাধিন তাধিন ৷
হাজার রকম চিন্তা মাথায়
সুখ গিয়েছে সরে
চামচাগুলোর খুলছে কপাল
বাদ বাকিরা মরে ৷
লাখ শহীদের রক্তে কেনা
প্রিয় স্বাধীনতা
গুমরে কাদেঁ খুব নীরবে
বুকে নিয়ে ব্যথা।
দেশ জাতি কি ফিরে পাবে
স্বাধীনতার মানে
কারো মুখে নেই তো আলাপ
আল্লাহ শুধু জানে ৷
স্বাধীনতার স্বাদ
শাহজাহান মাহমুদ
দেশ স্বাধীনের আগে যেমন
ছিলো জুলুম খুন
দেশ স্বাধীনের পরে ধরছে
সংবিধানে ঘুন ৷
লুণ্ঠিত আজ মানবতা
ধর্ষিত হয় সমাজ
বিবেক কুলের ফাঁটল মাথা
খাচ্ছে চাঁদাবাজ।
স্বাধীনতার নাম বিকিয়ে
ভুক্তভোগীর দল
যা ইচ্ছে তাই নেয় ছিনিয়ে
করে কোলাহল।
অপবাদ আর অপপ্রচার
যাচ্ছেনা কেউ বাদ
কি লাভ হলো স্বাধীনতার
কি পেয়েছি স্বাদ ?
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা
স্বাধীনতা
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
স্বাধীন হয়েছি একাত্তরে
মুক্তি পাইনি মাগো
দস্যি ছেলেরা অাবার তোমরা
বীরের বেশে জাগো।
খুন হয়ে যায় দিন দুপুরে
মানুষেরা হয় গুম
সব জিনিষের দাম বাড়াতে
হারায় চোখের ঘুম।
চিকিৎসাতে ব্ড্ড ডাকাতি
অামরা দিশেহারা
মানবতা আজ ঢুঁকরে কাঁদে
দেয় না বিবেক সাড়া।